বাংলার দুর্গা পুজো পেল ইউনেস্কো স্বীকৃতি
খবর দিনভোর নিউজ ডেস্ক, হুগলী, সোমবার, ১১ জুলাই ২০২২ :
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাই সারা দেশের বাঙালিরা আনন্দ উৎসব মেজাজে সব সময় মশগুল থাকে। আর একটা কথা বলাই যায় বাঙালি মানেই "দূর্গা উৎসব", আর তাই পেল ইউনেস্কো স্বীকৃতি। অকালবোধন এই কথাটার মধ্যেই বাঙালির আবেগ জড়িয়ে থাকে, কারণটা স্পষ্টই আর তা হলো মা দুর্গার আরাধনা। ৩৬৫ দিন অর্থাৎ এক বছর সারা দেশের বাঙালিরা পাঁচ দিন অপেক্ষা করে থাকে মা দুর্গার আগমনের জন্য। পঞ্চমী থেকে নবমী এই দিন ধরেই চলে বাঙ্গালীদের আনন্দ ফুর্তির পরিবেশ আর দশমী আসলেই হয় মন খারাপ। কারণ এইবার তো তাদের মাকে অর্থাৎ সর্বশক্তিমান দুর্গা দেবী কে চলে যেতে হবে শশুর বাড়ি। চার দিনের জন্য আসা মা দুর্গার নিজের বাপের বাড়িতে অর্থাৎ মর্তে তার পরিবারকে নিয়ে আসে। তারপর দশমীর দিন চলে যেতে হয় তাকে। এই দিন কেউ কেউ হাসিমুখে এবং কেউ কেউ আবার চোখের জলে বিদায় দেয় দেবী দুর্গাকে এবং তার পরিবারকে।
এইবারের অর্থাৎ ২০২২ এ দুর্গা পুজো শুরু হতে চলেছে ১ লা অক্টোবর থেকে। বাঙালির আবেগপ্রবণ এই দুর্গা পুজোকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। ১ লা অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হলেও তবে ঠিক এক মাস আগের থেকে শুরু হবে দুর্গাপুজো। ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার কারণেই মহা সাড়ম্বরে বাংলা শুরু হতে চলেছে পুজো। আগামী ১ সেপ্টেম্বর তিলোত্তমায় এক শোভাযাত্রা হবে। সেই দিন উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা আছে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতার বেলেঘাটার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে খুঁটি পূজার দিনই মহা মিছিলের বার্তা দেওয়া হয়। সেদিন উপস্থিত ছিল কুনাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, প্রিয়াঙ্কা সরকার, বাবুল সুপ্রিয় সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা।
বাংলার দুর্গাপূজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজস্ব টুইটের মাধ্যমে তা বার্তা দেন।
Comments
Post a Comment