দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন হিন্দমোটর মোটর কারখানার শ্রমিকরা




প্রায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কস হিন্দমোটরের হিন্দুস্থান মোটর কারখানা, যে কারখানার অব্যবহৃত ৩৯৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে চলেছে রাজ্যের ভূমি দপ্তর, পরবর্তীতে আপাতত স্থগিত, দুশ্চিন্তায় হিন্দমোটরের শ্রমিকেরা, প্রশাসনের দ্বারস্থ শ্রমিকেরা।


আগামী দিনে তাদের ভবিষ্যত কি হতে চলেছে,সরকার তাদের নিয়ে কি ভাবছে?বকেয়া টাকা আদেও তারা পাবেন কিনা? এইসব নানান প্রশ্ন নিয়ে গতকাল হিন্দ মোটরের শ্রমিকরা শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিসে যান এবং শ্রম কমিশনে দেখা করেন।যদিও আগামী বৃহস্পতিবার মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠকের কথা আছে।


যদিও এই নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় জানান সরকারের এই শ্রমিকদের জন্য কি বিকল্প ভাবছেন সেই কথা জানতেই তাদের নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ তারা।


(বক্তার বক্তব্য নিজস্ব কর্তৃপক্ষ এর দায় নেবে না)


সম্প্রতি জেলা শাসক ও ভূমি দপ্তরের আধিকারীকরা যাবেন হিন্দমোটরে তাই প্রস্তুত ছিল পুলিশও।হঠাৎই জেলা প্রশাসন সেই কর্মসূচী বাতিল করে।জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া জানিয়েছিলেন স্থানীয় কিছু সমস্যা আছে তাই আজকে ফিজিক্যালি পজিশান নেওয়া বাতিল করা হয়েছে।পরে আলোচনা করে দিন ঠিক করা হবে।

জেলা শ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে জমি চিহ্নিত করা হয়ে গেছে।সেই জমিতে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে  দেওয়া হবে।প্রায় সাতশ একরের বেশি জমি রয়েছে হিন্দুস্থান মোটরের।তার মধ্যে তিনশ একর বেঙ্গল শ্রীরামকে দেওয়া হয়েছে আবাসন শিল্পের জন্য।কিছু জমিতে টিটগড় ওয়াগন যেটা রেলের কোচ তৈরী হয় তাদের কারখানা রয়েছে।সেই টিটাগড় ওয়াগান কারখানাতেই গত জুলাই মাসে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন শিল্পের কথা।

১৯৪৮ সালে উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্থান মোটরের অ্যাম্বাসাডার কারখানা পথচলা শুরু করে।২০১৪ সালে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলে।কাজ বন্ধ হয়ে যায়।সেসময় প্রায় ২৩০০ শ্রমিক ছিল কারখানায়।অনেক আন্দোলন শ্রমিক প্রতিবাদেও কারখানার গেট খোলেনি।ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পরে।হিন্দুস্থান মোটরের অব্যাহত জমিতে জঙ্গলে ভরে যায়।অবশেষে সরকার সেই জমি অধিগ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেয়।প্রায় দু মাস শুনানীর পর অবশেষে জমি অধিগ্রহন সম্পূর্ন হয়।আজ সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন হতে দেখে শ্রমিক মহল্লায় চাঞ্চল্য তৈরী হয়।অনেকেই বলেন আর কি হবে সব তো শেষ।অনেকে অবশ্য আশাবাসী সরকার যদি এই জমিতে কিছু করে তাদের জন্য।কারখানার জমিতে কারখানার দাবী সিটুর।

এর আগে হুগলির সাহাগঞ্জের বিখ্যাত ডানলপ কারখানা অধিগ্রহন করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার।কিন্তু আইনি জটিলতার কারনে তা সম্ভব হয়নি।ডানলপের শ্রমিকদের ভাতার ব্যবস্থা করে সরকার।হিন্দুস্থান মোটের শ্রমিকরা অনেকেই ভিআরস নিতে বাধ্য হয়েছেন।বর্তমানে প্রায় তিনশ শ্রমিক রয়েছেন তাদের ভবিষ্যৎ কি তা এখনও স্পস্ট নয়।তবে শ্রমিকরা চাইছেন শিল্প।

এই নিয়ে হিন্দমোটর ও উত্তরপাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।


বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

সূত্রের খবর ওইদিন বিকালে শ্রীরামপুরে জেলা মহকুমা শাসকের অফিসে কারখানার শ্রমিক,ইউনিয়ন ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠক করে।

 

Comments

Popular posts from this blog

উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা, মৃ*ত 2, আহত 2

গরমে নাজেহাল মানুষ, পথ চলতি মানুষদের পানীয় জল বিতরণ করলেন সমাজসেবী দেবাশীষ সর্দার

বীরভূম: বোমা বিস্ফোরনে কেপে উঠল বীরভূম