রাসপূর্ণিমা কি?


 রাসপূর্ণিমা কি?  বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক


খবর দিনভোর,সজল দাশগুপ্ত:

                            

শ্রীকৃষ্ণ যখন ইহা  জগতে আবির্ভুত হয়েছিলেন, এরপর ভৌম বৃন্দাবনে  

দিব্যলীলা বিলাস করছিলেন , তখন শ্রীকৃষ্ণের বয়স যখন আট বছর।

 কৃষ্ণ শরৎপুর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনের কুঞ্জে 

মধ্যরাতে তাঁর অপ্রাকৃত বংশীধ্বনি দ্বারা তাঁর প্রিয়  

ভক্ত গোপীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন।তখন সেই রাতে 

শ্রীকৃষ্ণের বংশীধ্বনি শোনবার পর, ব্রজগোপীরা গৃহ থেকে 

বেরিয়ে পড়েন। তারা সকলে  কৃষ্ণের কাছে ছুঁটে গিয়েছিলেন।কেবল বৃন্দাবনের 

গোপীরাই নয়, ব্রহ্মান্ডের বিভিন্ন স্হান থেকে ভগবানের আরো  

সকলেই ছুটে গিয়েছিলেন।

নিত্যসিদ্ধ এবং সাধনসিদ্ধ সকলকে তিনি সেদিন আহ্বান করেছিলেন।তখন শ্রীকৃষ্ণ আগত সকল   গোপীদের সাথে নিজেকে  বিস্তার করে সকলের সাথে নৃত্য করেছিলেন।বৃন্দাবনের এই  নৃত্যই রাসনৃত্য বলে সুপরিচিত। রাস শব্দটি এসেছে 'রস'থেকে। রস হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে মাধুর্য রস।মাধুর্যরসে কৃষ্ণ এই লীলা করেছিলেন বলে এর নাম রাসলীলা। এই লীলা ভগবানের সব থেকে উন্নত ও শ্রেষ্ঠ লীলা এবং চিন্ময় স্তরের সর্বোচ্চ উপলব্ধি। রাসলীলায় ছিলেন তিন শ্রেণির গোপী নিত্যসিদ্ধা,সাধনসিদ্ধা,ও কৃপাসিদ্ধা।নিত্যসিদ্ধা গোপীরা শ্রীকৃষ্ণের নিত্য পার্ষদ।তারা ইহা  জগতের বন্ধনে আবদ্ধ নয়। তারা  শুদ্ধ এবং শ্রীকৃষ্ণের সাথেই থাকেন। সাধনসিদ্ধা বলতে বোঝায় যারা সাধনা করে শুদ্ধ হয়েছেন, যেমন,,ত্রেতাযুগে ভগবান রামচন্দ্র যখন শ্রীমতি সীতাকে নিয়ে দন্ডকারণ্যের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, ভগবান রামচন্দের সেই রুপ  দর্শন করবার পড়ে দন্ডকারণ্যের ঋষিরা যারা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ধ্যান করছিলেন,তাঁরা ভগবানকে পতিরুপে পেতে চেয়েছিলেন। ভগবান রামচন্দ্র  তখন তাঁদের বলেছিলেন,''আমি যখন দ্বাপরের শেষে কৃষ্ণরুপে লীলা করতে আসবো,, তখন তোমাদের সকল বাঞ্ছা পুর্ণ করব। তাই তাঁরাও রাসলীলাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আরো ছিলেন দেবকন্যা,ঋষিকন্যা, গান্ধর্ব কন্যা, আরেক শ্রেণির গোপী ছিলেন , তারা  ততটা শুদ্ধ হয়ে ওঠেনি,তাদের গৃহে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।

Comments

Popular posts from this blog

*_একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম_*

*__মকাইবাড়ি চা বাগানে চা পাতা তুললেন মুখ্যমন্ত্রী_*

*_বড়সড় সড়ক দুর্ঘটনা হুগলিতে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও বিধায়ক করবী মান্না_*