দার্জিলিং ভ্রমণের সুখকর স্মৃতি ভোলাতে পারে দার্জিলিং!
*দার্জিলিং ভ্রমণের সুখকর স্মৃতি ভোলাতে পারে দার্জিলিং!*
খবর দিনভোর,সজল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:দার্জিলিং ভ্রমণের স্মৃতি ভোলাতে পারে দার্জিলিং। একেবারে ধ্রুব সত্য। দেশজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন পার্বত্য এলাকা, প্রকৃতির অপূর্ব মনোরম রূপ দেখে মুগ্ধ হতে হয়। সিমলা থেকে কুলু মানালি সবকিছুই অপূর্ব। তবে দার্জিলিং এর ক্ষেত্রে কিন্তু অদ্ভুত এক নস্টালজিয়া কাজ করে। একবার দার্জিলিং ভ্রমণ করলে সেই স্মৃতি টাটকা থেকে যায়, সেই স্মৃতি ভোলানো সম্ভব দার্জিলিঙে গিয়ে। শীতের আবির্ভাবে আরো মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে পাহাড়ি শহর। ঘুমন্ত বুদ্ধর দর্শন থেকে দার্জিলিং চায়ের অনুভূতি সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে নস্টালজিয়া। শৈল শহর ভ্রমণ একধারে কমপ্লিট প্যাকেজ। সমতল শহর শিলিগুড়ি থেকে খেলনা গাড়ি করে পাহাড়ি শহরের অভিমুখে সফর এক কথায় অনবদ্য। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তায় খেলনা গাড়ি করে ভ্রমণের মুগ্ধতা সত্যিই আনন্দ দেয়। দার্জিলিং ভ্রমণের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ঘুমন্ত বুদ্ধের দর্শন। শীতের মিঠেল রোদে ঘুমন্ত বুদ্ধকে দেখতে অসাধারণ লাগে। টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত দেখা এক অপরূপ অনুভূতি। এছাড়া দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে বিভিন্ন পশু পাখি। এছাড়া আঁকাবাঁকা রাস্তায় দুই ধারে চা বাগান যেন শরীরে প্রাণের সঞ্চার করে, তারুণ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসে সবুজ ভরা চা বাগান দেখে। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, প্রচন্ড ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচবার জন্য দার্জিলিং এর পথে রাস্তার দু'ধারে গরম গরম চা পাওয়া যায়। এই চায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল চিনি প্রায় থাকে না বললেই চলে, যাকে বলে সুগার ফ্রি। অনেকেই শুধু চা খাওয়ার জন্য নয় উষ্ণতার খোঁজে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে থাকেন। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে উষ্ণতা খোঁজার এক দুর্দান্ত অনুভূতি। এছাড়া জানুয়ারি মাসে যখন তুষারপাত হয় সেই দৃশ্য দেখবার স্বর্গীয় অনুভূতি এক কথায় অসাধারণ। বৃষ্টির বারিধারার মতো তুষার গুলি উপর থেকে নিচে নেমে আসতে থাকে, এক অবিরাম নস্টালজিয়া যার কোন শেষ নেই। দার্জিলিং ভ্রমণের সুখকর স্মৃতি নিয়ে পর্য টকরা যখন নিজেদের গন্তব্যস্থলে ফিরে যান সেই স্মৃতি তাদের চিরতরে টাটকা থাকে।
Comments
Post a Comment