*ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চিন্তার ভাঁজ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের*
খবর দিনভোর, নিউজ ডেস্ক: তালিকায় নাম নেই কিন্তু বেরিয়ে যাচ্ছে ও নিয়োগ পত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি দেখেই চোখ কপালে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকদের। অবিকল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের থেকে পাঠানোর নিয়োগ পত্রের মতন। অবিকল নকল করা হয়েছে সই, নিয়োগপত্রের কাগজের ও চেহারাও একই। খতিয়ে দেখেই কর্তারা বুঝতে পেরেছেন ওই নিয়োগ পত্র আসলে ভুয়ো। ইতিমধ্যে এই ঘটনা সামনে আসতে নড়ে চড়ে বসেছে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, সোনারপুর ও পাথরপ্রতিমা এলাকায় মোট চারজন চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়ই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এরপরই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে তদন্তের আবেদন জানানো হয়। এবার ফের ভুয়ো নিয়োগপত্রের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মকর্তারা শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রসঙ্গত,২০০৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৮৩৪ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫০৬ জনের তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। বাকি তালিকা নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলে। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তার মধ্যেই ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ বেড়েছে।গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, সোনারপুর ও পাথরপ্রতিমা এলাকায় মোট চারজন চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়ই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এরপরই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে তদন্তের আবেদন জানানো হয়। এবার ফের ভুয়ো নিয়োগপত্রের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মকর্তারা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত কুমার নায়েক জানান, ডায়মন্ড হারবার পোস্ট অফিস থেকেই স্পিড পোস্ট এর মাধ্যমে এই নিয়োগপত্র দুটি পাঠানো হয়েছিল সাগর এলাকার দুই চাকরি প্রার্থীকে। নিয়োগপত্রের এনভেলপ, এমনকী আমার স্বাক্ষরও নকল করা হয়েছে ভুয়ো নিয়োগপত্র দুটিতে। তদন্তের জন্য সংসদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ যখন সামনে আসছে তখনই ভুয়া চাকরির মতন ও নিয়োগপত্র দিয়ে কি কিছু অসাধু ব্যক্তিরা লাভবান হচ্ছে। সেটাই আগামীদিনের তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে চাকরি প্রার্থীরা ।
Comments
Post a Comment