বিলুপ্তির পথে কি ন্যাড়া পোড়া?
খবর দিনভোর, সুফল চন্দ: *আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরিবল* এই লাইনটির সাথে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হয়তো এই কথাটির মাধ্যমেই আমরা শৈশবের সেই ন্যাড়া পোড়ার কথা মনে পড়ে। রংয়ের উৎসব অর্থাৎ দোল উৎসবের আগের দিন ন্যাড়া পোড়া বিশাল ভাবে মানানো হতো। বিভিন্ন মাঠে-ঘাটে অথবা রাস্তার ধারে অথবা কোন নির্জন ফাঁকা জায়গায় ছোট করেই হোক বা বড় করে হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া দেখা যেত। কালের চক্রে পড়ে হয়তো বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে সেই ছবি বিশেষ একটা দেখা যায় না বললেই চলে। তার কারণ এখনকার সময় বসন্ত উৎসবের আগে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় প্রাক বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠান কিন্তু বিশেষ জায়গায় দেখা যায় না ন্যাড়া পোড়ার সেই প্রাচীন সংস্কৃতির অনুষ্ঠানটি, যা পৌরাণিক কাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। যত সময় যাচ্ছে ততোই যেন আমাদের শৈশবের পুরনো উৎসবগুলো ক্রমশ মুছে যাচ্ছে। তা না হলে ন্যাড়াপোড়ার মতন একটা উৎসব মুখর দিনটি আমাদের নজরে সচরাচর আসেনা। তবে একথাও বলা যাবে না যে ন্যাড়া করা হয় না কারণ এখনো হয়তো কিছু কিছু জায়গায় এই বুড়ি পোড়া বা ন্যাড়া পোড়া বসন্ত উৎসবের আগে হতেও পারে। তবে একটা প্রশ্ন উঠে আসে কলিযুগেও কি ন্যাড়াপোড়া বিলুপ্তির পথে?
Comments
Post a Comment