পুলিশকে তোলা না দেওয়ায় গাড়ির চালককে বেধড়ক মারধোর করে গ্রেপ্তার করে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ডানকনি : পুলিশকে তোলা না দেওয়ায় গাড়ি চালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ! সিগন্যাল ভাঙায় গাড়ি আটকানোয় পুলিশকে আক্রমনের পাল্টা অভিযোগ।
হরিয়ানার বাসিন্দা আহত গাড়ি চালক আনিস খানকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রায় দু ঘন্টা অবরোধ জাতীয় সড়ক।
ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে দূুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়েতে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ।
গাড়ি চালকদের দাবী তাদের গাড়ি আটকে টাকা চাওয়া হয়।টাকা না দিলে কেস দেওয়া হয়।মূলত ভীন রাজ্যের গাড়ি কেসের ভয়ে টাকা দিয়ে দিতে বাধ্য হয়।আজ ভোরে হরিয়ানার একটি লরি ধান ঝাড়ার মেশিন নিয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল।সেই লরি আটকে টাকা চায় ট্রাফিক এমনই অভিযোগ।টাকা না দেওয়ায় মারধোর করা হয় গাড়ি চালককে।সেই দৃশ্য দেখে অন্য গাড়ি চালক ও গাইডরা রাস্তা অবরোধ শুরু করে।ডানকুনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়।তীব্র যানজট তৈরী হয় জাতীয় সড়কে।সিগন্যাল ভাঙায় গাড়ি আটকাতে গেলে চালক পালানোর চেষ্টা করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।ডানকুনি থানা এলাকা চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার মধ্যে হলেও দূর্গাপুর রোডে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে হুগলি গ্রামীন পুলিশ।
এই ঘটনায় প্রসঙ্গে গ্রামীন পুলিশ সুপার আমন দীপ টেলিফোনে জানান,সিগন্যাল ভাঙায় একটি গাড়িকে আটকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক।গাড়ি রাস্তায় মাঝে দাঁড় করিয়ে দেয় চালক।সেই গাড়িতে আরো তিনজন ছিল।গাড়ির কাগজ দেখতে চাইলে তারা ট্রাফিক হোমগার্ডের উপর চড়াও হয়,ধাক্কা মারে।
খবর পেয়ে সেখানে অন্য অফিসাররা পৌঁছে জান।তখন তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।অন্য গাড়ির চালককে দিয়ে লরি সরানো হয়।ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে গাইড থাকে।যারা ভীন রাজ্যের লরিকে কলকাতায় নিয়ে যায়। এমনিতে ডানকুনিতে যানজট খুব বেশি।এরপর সিগন্যাল ভেঙে গাড়ি চললে আরো সমস্যা হবে।ঘটনায় ডানকুনি থানায় অভিযোগ জানানো হবে গ্রামীন পুলিশের পক্ষ থেকে।
Comments
Post a Comment