“জমিদারী রাজত্ব চলছে স্কুলে,‘’ শিক্ষক বদলি মামলাতে এবার প্রধান শিক্ষককেই বরখাস্ত করলো কলকাতা হাইকোর্ট
“জমিদারী রাজত্ব চলছে স্কুলে,‘’ শিক্ষক বদলি মামলাতে এবার প্রধান শিক্ষককেই বরখাস্ত করলো কলকাতা হাইকোর্ট
খবর দিনভোর এডিটোরিয়াল ডেস্ক : প্রধান শিক্ষক হিসেবে আর কাজ করতে পারবেন না রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ৯ এপ্রিল, ২০২২ কলকাতা হাইকোর্ট রায়দান করে। নির্দেশ অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ শনিবার থেকে স্কুলে ঢোকা, কোনও নথিপত্রে সই করার কোনোরকম এক্তিয়ার পর্যন্ত আর থাকল না কালীচরণ সাহার। গতকাল শুক্রবার এই নির্দেশ দেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা সংযুক্তা রায় মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। গোয়ালপোখরের টুটিকাটা হার্মা আদিবাসী গার্লস স্কুলে ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছর রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলে বদলি হন তিনি। শিক্ষিকার অভিযোগ, বদলি হওয়া সত্ত্বেও রায়গঞ্জের স্কুলে তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। আগের স্কুল থেকে রিলিজ অর্ডার নিয়ে নেওয়ার পরেও নতুন স্কুলে যোগ দিতে না পারায় বেতন বন্ধ হয়ে যায় তাঁর।
২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি স্কুল সার্ভিস কমিশন, করোনেশন স্কুলের জন্য ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে তাঁর নাম সুপারিশ করে। সেই মতো ওই নিয়োগে অনুমতি দেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। অভিযোগ, তাতে বাধ সাধেন করোনেশন স্কুলের দুই প্রাক্তন টিচার ইনচার্য শুভাশিস বসাক ও স্বপন চক্রবর্তী এবং তৎকালীন প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ইতিমধ্যে এক জন শিক্ষক ওই বিষয়ে কর্মরত রয়েছেন। তাই নতুন কাউকে নেওয়া হবে না। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন সংযুক্তা।
স্কুলের আরেক শিক্ষক মহিদুর আলম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত এবং বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তাঁকেই চাকরিতে পুনর্বহাল করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর, মার্চ মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ, শিক্ষিকাকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলে ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন সংযুক্তা রায়। একইসঙ্গে ওই শিক্ষিকার বকেয়া থাকা ১৩ মাসের বেতনও স্কুলের তিন শিক্ষককে মেটানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে মামলার শুনানিতে আদালতে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক। বিচারপতি বলেন, “স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের জমিদারি চলছে।‘’
Comments
Post a Comment