জামিন পেলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক তাপস পাল
জামিন পেলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল অধ্যাপক তাপস পাল
দীর্ঘ এক মাস পর ৩১/০১/২০২৩ রায়গঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও ভূগোলবিদ অধ্যাপক ড. তাপস পাল জেল হেফাজত থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাট কোর্ট থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে, স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের কারন হল ড. তাপস পালের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বিয়ের পর থেকেই তাপস পালকে তার ক্যান্সার আক্রান্ত বিধবা মাকে ছেড়ে ঘর জামাই থাকার চাপ দিচ্ছিল। এই প্রস্তাব অধ্যাপক ড. তাপস পাল নাকচ করে দেন। অধ্যাপক তাপস পালের পৈতৃক বাড়ি মায়ের নামে। ক্যান্সার আক্রান্ত বিধবা মাকে ছেড়ে বাইরে কোথাও গিয়ে থাকতে চায় নি। এর পরই গত 29/11/2022 এ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রজেক্ট ল্যাব এ রাত্রি ৭ টা নাগাদ তাপস বাবুর স্কলারদের সামনে শ্বশুরমশাই শুভ্রংশু রায় (ময়ুরিকা রায়ের বাবা) অনধিকার প্রবেশের মাধমে এসে তাপস বাবুকে জোর করে নিয়ে যাবার হুমকি দিয়ে গিয়েছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামেরায় রেকর্ড বন্দী হয়ে আছে।
শুভ্রাংশু রায় এও বলেন যে "এর পরেও কিন্তু আমার আওয়াজ আর বাড়বে, লোক আরোও জড়ো হবে এখানে, সীনক্রিয়েট হবে কিন্তু, উঠো, চল আমার বাড়ি ... তুমি যেতে বাধ্য, আমি জোর করে নিয়ে যাব, মাথা গরম কোরিও না বলে দিলাম you must be with me. ভদ্র ভাবে চল কিন্তু বলে দিলাম, আমার আসল রূপ টা দেখতে পাবে ... ৩০ বছর যে ডিপার্টমেন্ট এ চাকরি করে এসেছি তুমি ভাল মত জানো, তোমাকে সোজা করতে হয় কী ভাবে ভাল করে জানি আমি কিন্তু সেই দিকে হাত দি নি এখনো.... কী করতে পারি জানো না..... আমি ফাকা আওয়াজ দিয়ে বলব না, কী করতে পারি করেই দেখিয়ে দিব, তোমার মান সম্মান কিছু আছে। বাপ মায়ে শিক্ষা দিতে পারে নি. গোবরের মধ্যে একটা পদ্মফুল হয়েছে, বোস হয়ে গিয়েছে, অশিক্ষিতর দল ... আজ সীনক্রিয়েট এখানে কিছুই হচ্ছে না, কিন্তু যেটা হচ্ছে ১% হচ্ছে না, এর পর অনেক কিছু দেখতে পাবে ...।"
প্রসঙ্গত ময়ুরিকা রায়ের মা মন্দিরা চক্রবর্তী হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের Child welfare Committee এর চেয়ারপার্সন ও পিতা শুভ্রাংশু রায় ডিস্ট্রিক্ট জজ কোর্টের (বালুরঘাট ) “কোর্ট employee অ্যাসোশিয়েশন" এর ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি, ও বালুরঘাট জজ কোর্টে মে ১৯৯০ থেকে জানুয়ারী ২০২০ পর্যন্ত ডিস্ট্রিক্ট রেকর্ড রুম সহ ডিস্ট্রিক্ট জজ কোর্ট এ প্রায় ৩০ বছর গুরুত্তপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।
যদিও তাপস বাবু ৩০ / ১১ / 2022 এ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন প্রোফেসর দীপক কুমার রায় ও ভূগোল বিভাগের হেড প্রোফেসর নুরুজ্জমান কসেমি বাবুকে লিখিত ঘটনা রিসিভ কপি সহ জানিয়ে অবগত করে রেখেছিলেন এর কিছু দিন পর হটাৎ ২২/১২ /২০২২ এ গভীর রাতে বালুরঘাট থানার পুলিস তাপস বাবুর স্ত্রী ময়ুরিকা রায়ের প্রায় ২ বছরের পুরোনো (০৮/০৩/২০২১) সাজানো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসে রায়গঞ্জের বাড়ি থেকে ড. তাপস পাল কে আরেস্ট করেন। উল্লেক্ষ্য গত ০৮ /০৩ / ২০২১ সাল থেকে প্রায় ২
বছর স্ত্রী ময়ুরিকা রায় তার শ্বশুর বাড়িতে স্বামী ড. তাপস পালের সহিত একবাড়ীতে ছিলেন না। দীর্ঘ এক মাসের বেশি জেল হেফাজতে থাকার পর মহামান্য কোর্টের আদেশে ৩১ / ০১ /২০২৩ তিনি জামিন পান।
অধ্যাপক ড. তাপস পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নি। তবে তিনি আশঙ্কা করছেন যেকোনও সময় তার স্ত্রী ময়ুরিকা রায়ের বাবা ভাড়াটিয়া গুণ্ডাদের দিয়ে যে কোনও সময় তার এবং তার মায়ের উপর হামলা করতে পারেন এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কাছে সাহায্য পার্থনা করছেন । তিনি ও তার পরিবারের লোকজন ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেছেন।
প্রফেসর জামিন পেলেন, এ বিষয়ে খবর দিনভোর এর পক্ষ থেকে অধ্যাপিকা(চুক্তিভিত্তিক, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়) ময়ুরিকা রায় এর সাংবাদিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি কোনো উত্তর দেন নি।
Comments
Post a Comment