*অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করে*
খবর দিনভোর, নিজস্ব প্রতিনিধি,ডায়মন্ডহারবার:কোন দুর্নীতির যদি জনসমক্ষে আনতে পারে তাহলে ফাঁসির মঞ্চে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করব , কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের।
লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে শেষ প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করলো তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর বিধানসভার অন্তর্গত আমতলায় একটি নব নির্মিত প্রেক্ষাগৃহ উদ্বোধন করেন ডায়মন্ড হারবারের সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করতে খরচা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। প্রেক্ষাগৃহে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে রিভিউ মিটিং করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ বছরে নিজের সংসদীয় এলাকায় উন্নয়নের খতিয়ান দিলেন অভিষেক।বৈঠক শেষে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নাগরিক পরিষেবা এবং উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে সবিস্তার খতিয়ানও দিতে দেখা যায় গত দুবারের সাংসদকে। এরপরেই বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন গত ১০ বছরে নিজের লোকসভার কেন্দ্রে প্রায় ৫২০ কোটি টাকা খরচে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। কারো যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয় তাহলে আমাকে বলবেন আমি, আপনাকে কাজের তালিকা পাঠিয়ে দেবো আপনি মিলিয়ে নেবেন যে আমার বলা কথা অনুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা। আমি যে টাকা, যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যয় করেছি সেই টাকার সেই পরিমাণ কাজ হয়েছে কিনা সেটা বুঝে নেয়ার দায়িত্ব আপনাদের। না হলে তো কোর্টের দরজা খোলাই রয়েছে আপনি আদালতে দারস্ত হতে পারেন। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ,নীতীশের এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, তিনি আমার থেকে অনেক সিনিয়র, যদি তিনি বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমি কী বলব। কিন্তু রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ।
আমি তাকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে চাই না। প্রতি ছয় মাসে সরকার বদলায়। এটা আমরা বিহারের মানুষের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভাল। এটা তাদের বিচার। আমি নীতিশ কুমারকে শেখানোর কেউ নই।সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সেই ঘটনার ২৪ দিন পর অবশেষে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়বললেন, “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা না হলেই ভালো হত।”
ক্রমশ গভীর হচ্ছে শাহজাহান অন্তর্ধান রহস্য। সোশাল মিডিয়ায় ‘অ্যাকটিভ’ হলেও, পুলিশের কাছে ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা। ইডির তলবেও সাড়া দিচ্ছেন না। ইডির উপর হামলার ঘটনার ২৪ দিন পরও সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার খোঁজ পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। কোথায় রয়েছে শাহজাহান? কেন হদিশ মিলছে না, তা নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পুলিশ। অবশেষ সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ডায়মন্ড হারবার থেকে তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা নাহলেই ভালো হত।” বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টা একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছেননা তিনি। বিচারপতিদের লড়াইয়ের বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা কোনদিন স্বাধীন ভারতবর্ষে এই জিনিস দেখেছি। যার কাছে আমরা যাই বিচারের জন্য এই ঘটনা আমরা কোনদিন সন্দেহ ভাবতে পারি কোনদিন হয়। এই সংঘাত বিজেপি তৈরি করেছে। আমার লোকসভা কেন্দ্রে যে কেউ আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী হতেই পারে যে কোন রাজনৈতিক দল থেকে আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে লড়তে পারে। নাম না করে আই এস এফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী কে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল ডায়মন্ড হারবারের সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কেউ আসতে পারে আমার সঙ্গে লড়তে, আসুক আমি তাকে স্বাগত জানাবো। আমার বিরুদ্ধে যদি সিবিআই বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি কোন দুর্নীতির প্রমাণ জনসমক্ষে আনতে পারে তাহলে ফাঁসির মঞ্চে আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবো। কার্যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি সত্যি কথা স্পষ্ট ভাবে বলতে ভালোবাসি কারণ ভালো রাখতে পারে কারণ খারাপ লাগতে পারে।
Comments
Post a Comment