*শাহজাহানের বিরুদ্ধে উঠলো টাকা তচ্ছরুপের অভিযোগ*
খবর দিনভোর, নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা:উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ায় চিংড়ি মাছের টাকা তাসরূপের অভিযোগ উঠল শেখ শাহাজানের বিরুদ্ধে।। চিংড়ি মাছের কোম্পানির এজেন্টদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল সন্দেশখালির বাদশাহ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। বকেয়া টাকা ফেরতের দাবি তুলে পথে নেমেছেন চিংড়ি কোম্পানির এজেন্টরা।
বাসন্তী হাইওয়ের কাছে হাড়োয়ার ঘোষপুরে একটি চিংড়ি মাছের প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থা অন্যান্য রাজ্যে চিংড়ি মাছ রফতানি করে। কোম্পানির এজেন্টদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে অগস্ট মাস থেকে তাঁদের টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া টাকার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যে কোম্পানির মালিকানা হাত বদল হয়ে গিয়েছে। নতুন মালিকের কাছ থেকে তাঁরা সেই টাকা ফেরত চাইছেন।
এই চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ সংস্থার সঙ্গে কীভাবে শাহজাহানের যোগাযোগ হল? তাঁর উত্তর দিতে গিয়ে এজেন্টরা জানিয়েছেন, শেখ শাহজাহানও তাঁদের মতোই একজন এজেন্ট ছিলেন এই সংস্থায়। তাঁরও টাকা বাকি ছিল। এক সময়ে শেখ শাহজাহান সমস্ত এজেন্টদের সঙ্গে জোট বেঁধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই সময় কোম্পানিতে তিনি তালাও ঝুলিয়ে দেন। তারপরে সংস্থার মালিকরা শাহজাহানের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
এক এজেন্টের অভিযোগ, বন্ধ কোম্পানি থেকে তাদের মাল রাতের অন্ধকারে বাইরে সরবরাহ করে দিচ্ছিল কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনা আটকে ছিলেন শাহজাহানই। এরপরে এজেন্টদের তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন কোম্পানিতে রাখা তাঁদের মাল কোথাও সরবরাহ হবে না। কিন্তু পরে অন্যান্য এজেন্টরা জানতে পারেন, নিজের ও তাঁদের মাল বাজারের বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন শাহজাহান। তাঁর কাছে সেই টাকা চাইতে গেলে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে বঞ্চিত এজেন্টদের।
কোম্পানি হাত বদলের পরে নতুন মালিকের কাছে বকেয়ার মেটানোর দাবি জানালে তিনি শাহজাহানের কাছে টাকা চাইতে বলেন। এখন কোটি কোটি টাকা বকেয়া না পাওয়ায় এই সমস্ত এজেন্টরাও দেনাদারদের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। কয়েকজন বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এই সমস্ত এজেন্টদের অভিযোগ, শাহজাহান তাদের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই টাকা তাঁরা এবার ফেরত চান।
Comments
Post a Comment