নিউটাউন:- সন্দেশখালি ইস্যু নিয়েও আশানুরূপ ফল হল না
খবর দিনভোর, নিজস্ব প্রতিনিধি,নিউটাউন:*দিলীপের জমানায় ১৮, শুভেন্দু সুকান্তর জমানায় ১২*
পার্টি চলতে থাকে। লড়াই চলতে থাকে। নেতা পাল্টে যায়। এটা ঠিক আমরা ২০২১ পর্যন্ত এগিয়েছি। বহু কর্মী শহীদ হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা ১৮ সংসদ এবং ৭৭ বিধায়ক পেয়েছিলাম। ওখানেই আমাদের গ্রোথ আটকে গেছে। ভোটের শতাংশ একই আছে। আর গ্রোথ হয়নি। আমরা গত ৩ বছরে এগোতে পারিনি। ভাবতে হবে। এইখানে আমরা যে গতিতে এগোচ্ছিলাম সেটা সারা দেশে আলোচনার সাব্জেক্ট ছিল। সবাই অনেক আশা করেছিলাম। কিন্তু সব কর্মীরা নামেনি। গতি রুদ্ধ হয়ে গেলে কর্মীরা হতাশ হয়ে যাবেন।
*পদ থেকে আপনাকে অপসারণ এবং আপনার আসন চেঞ্জ*
অসম্ভব কিছু না। সব সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। বাংলার মানুষ বলবেন এই গুলো ঠিক হয়েছে না ভুল হয়েছে। আমাকে দল যখন যা বলেছে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। পুরো ইমানদারি দিয়ে করেছি। ফাঁকি রাখিনি। এবার বর্ধমানে হেরে যাওয়া কঠিন সিট ছিল। যারা সেখানে সেদিন ছিলেন তারাও মেনেছেন একটা জায়গায় অন্ততঃ লড়াই হয়েছে। দলের পলিসির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যারা আমাকে ওখানে পাঠিয়েছেন তারা ভাববেন।
*আপনাকে আন্দামানে সংগঠনের কাজে পাঠানো হল মাঝে*
কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। *চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ*। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তার পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। *রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।*
*ধরাশায়ী বিজেপি*
আমি যেটুকু রাজনীতি বুঝি, দেশে বহুবার এরকম উত্থান পতন হয়েছে। রাজিব গান্ধীর মৃত্যুর পর বিজেপি ২ টো সিট পেয়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো লোককে খারাপ ভাবে হারতে হয়েছিল। বাজপেয়ী সরকার চলে যাওয়ার আগে মমতার মাত্র ৮ টা সিট ছিল। উনি বাড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আমার কর্মী যারা তাদের এই উত্থান পতন কে সঙ্গী করেই এগোতে হবে। *ব্যক্তিগত রেষারেষির এবং ভুল পলিসির জন্য এইভাবে হাজার হাজার কর্মীর আত্মত্যাগ বিফলে চলে গেলে পরবর্তী কালে তাদের দলের কাজে লাগানো মুশকিল হয়ে যাবে।* মানুষের পার্টির ওপর আস্থা চলে যাবে।
*কর্মীদের মনোবল এর কি অবস্থা?*
নেগেটিভ রেজাল্ট হলে মন খারাপ হয়। ২০২১ এর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের পর অনেক কর্মী বসে গেছিলেন। কিন্তু পার্টির কথা ভেবে আবার নির্বাচনের আগে ফিরে এসেছিলেন। তারা কাল থেকে অনেকে ঘরছাড়া। কারণ তারা আগের অভিজ্ঞতা থেকে ভয় পাচ্ছে। আমাকে দেখে অনেকে বেরিয়েছিল। যদি আবার সেরকম পরিস্থিতি হয় তাহলে *আগামী দিনে পার্টি আরও ৫ বছর পিছিয়ে যাবে।* পার্টির এবার ভাবা উচিৎ। যে কর্মীরা পার্টির জন্য বেরোয় তারা যেন তাদের সংকটে পার্টিকে পাশে পায়। এটাও পার্টিকে দেখতে হবে।
*রামলালা মন্দির অর্থাৎ ফইজাবাদে পার্টির হার*
রামমন্দির আন্দোলন যখন প্রথম শুরু হয় তখন ওখানে সিপিআই জিতত। তারপর বিনয় কাটিহার কে ওখানে নিয়ে এসে জেতা হয়। রামমন্দির নিয়ে এতো আন্দোলন এবং মন্দির বানিয়ে দেওয়া, তারপরেও কেন হেরেছি? কারণ টা পৌরাণিক। *অযোধ্যার লোক রাম কে ছাড়েনি। সীতা কে বনবাসে পাঠিয়েছে। মোদী কে? যোগী কে?*
*ইন্ডিয়া জোটের সক্রিয়তা*
নাইডু এবং নীতীশ বাবুর মতো পাল্টিরাম যারা আছেন তাদের ওপর ভরসা করা মানেই বেইমানি। বারবার ঠকতে হয়। এরা বিজেপির সাপোর্ট নিয়ে জিতে আসে। তারপর বিজেপি ছেড়ে অন্যের সঙ্গে হাত মেলান। এটা দল দেখবে। তবে মমতা ব্যানার্জির কথায় কেউ বিশ্বাস করেনা।
*ফ্লপ সন্দেশখালি ইস্যু*
আন্দোলন টা রাজনৈতিক ছিল না। সাধারণ মানুষের আন্দোলন ছিল। পরে এটাকে বিজেপি টেক আপ করেছে। আমরা তাদের ন্যায় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কালও অত্যাচার হয়েছে। এরপর ওই মহিলারা ওখানে আর থাকতে পারবে কিনা জানিনা। এই আন্দোলন সারা দেশে নজির গড়েছিল। ওটা আমাদের পুরোনো গড়। ঘোরতর তৃণমূল জমানাতেও আমরা ওখানে ভালো ভোট পেতাম। কিন্তু আরও ভালো রেজাল্ট হবে ভেবেছিলাম। হয়নি।
Comments
Post a Comment