মহাকাশের জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন বীরভূমের তাঁতিপাড়ার প্রদ্যুৎ দের।
খবর দিনভোর,নিজস্ব প্রতিবেদন,বীরভূম : মহাকাশের জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন বীরভূমের তাঁতিপাড়ার প্রদ্যুৎ দের।
আজ জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার অর্থাৎ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল। সেই মাধ্যমিক ২০২৫ পরীক্ষায় এবছর বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের গোহালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তাঁতিপাড়া নবকিশোর বিদ্যানিকেতনের ছাত্র তাঁতিপাড়া হাটতলা গ্রামের বাসিন্দা প্রদ্যুৎ দে ৬৮৫ নম্বর পেয়ে সকলের নজর কেড়েছে এবং তাঁতিপাড়া নবকিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের রেকর্ডে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে। যদিও শুধুমাত্র ১ নাম্বার কম পাওয়ার জন্য রাজ্যের মেধা তালিকায় সে এক থেকে দশের মধ্যে আসতে পারল না এই আফসোস তার মনকে কিছুটা আনন্দের মাঝেও বিষন্ন করে তুলেছে। তবে সে আশাবাদী রিভিউ করলে নাম্বার বাড়বে এবং রাজ্যের মেধাতালিকায় ১০ নম্বরের মধ্যে সে আসবেই। প্রদ্যুৎ ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র। তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে সে মহাকাশের জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে এবং একজন মহাকাশের জ্যোতির বিজ্ঞানী হবে। প্রদ্যুতের এই সাফল্যের পেছনে তার বাবা তন্ময় দে এবং মা ক্ষমা দে সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অবদান থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবীর ঘোষ সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের এবং গৃহ শিক্ষকদের অবদানও যথেষ্ট তার এই সাফল্যের পিছনে বলে জানিয়েছে প্রদ্যুৎ ।জীবন বিজ্ঞানে পেয়েছে..১০০।ভৌত বিজ্ঞানে পেয়েছে ৯৯। ইংরেজিতে পেয়েছে ৯৩। বাংলায় পেয়েছে ৯৮। ইতিহাসে পেয়েছে ৯৮। ভূগোলে পেয়েছে ৯৯। প্রদ্যুৎর প্রিয় শখ বই পড়া। প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় খেলা ক্রিকেট। প্রদ্যুৎ স্কুল ও টিউশন পড়ার সাথে সাথেই বাড়িতে শুধুমাত্র পাঁচ ঘন্টা পড়াশোনা করতো। সে রাত জেগে পড়তেই ভালোবেসে। প্রদ্যুৎ তে র বাবা তন্ময় দে দুবরাজপুর টাউন লাইব্রেরীতে কর্মরত এবং মা ক্ষমা দে গৃহবধূ।
Comments
Post a Comment